গল্পঃ# ওসির_মেয়ে_যখন_বউ
লেখকঃ Mahbub Rohman Shuvo
পর্বঃ ০3
কিছুক্ষণ পর ভার্সিটিতে আরেকটা গাড়ি ঢুকলো এটা ছিল সাদা রঙের। তখন একজন কোর্ট পরিহিত লোক গিয়ে সাদা গাড়ির দরজা খুলে দিল এবং একজন লোক বেরিয়ে আসলো।
লোকটিকে দেখে পুরা ভারসিটি সবাই নিস্তব্ধ হয়ে গেল কেউ কোন কথা বলছে না। সবার চেহারায় ভয়ের ছাপ । হয়তো ভার্সিটির সবাই ভয় পেয়ে গেল।
আমি ওকে দেখে মুচকি মুচকি হাসি আর মনে মনে বলছি,,
আমিঃ গ্যাংস্টার জোকার কিং এর লিডার তাহলে বেরিয়ে আসলো। আজ তোর মরণের নিশ্চিত । হাহাহা।
পাশে জামিনুর ছিল আমাকে দেখে বলল,,,
🌷জামিনুরঃ কিরে রায়হান তুই কি পাগল হলি নাকি এভাবে হাসছিস কেন??
আমিঃ না এমনি। ও আচ্ছা। তো এখানে একটু থাক। আমি আসছি।
এই বলে আমি একটা সাইডে চলে গেলাম সাইডে গিয়ে মেঘ কে কল করলাম।
আমিঃ মেঘ তোদের কাজ শুরু করে দে।
🔺মেঘঃ ওকে ভাই করছি।
এটা শুনার আমি কলটাকেটে দিলাম। এবং গিয়ে আবার জামিনুর এর পাশে দাড়ালাম।
সেখানে দাড়িয়ে জামিনুর বলছে।
🌷জামিনুরঃ কিরে তুই কই ছিলি
আমিঃ এই খানে কেনো।
🌷জামিনুরঃ না এমনি।
তখনি গ্যাংস্টার জোকার লিডার আমাকে ডাক দিল।।
⚠️লিডারঃ এই যে ক্ষেত এই দিকে আয়।
আমি নির্ভয়ে তার কাছে চলে গেলাম।
তার কাছে গিয়ে বলতে লাগলাম,,,,,
⚠️লিডারঃ তুই তো সর্বশেষ রকির সাথে জামেলা করেছিস তাই না।
আমিঃ না তো। সেই উল্টো আমার সাথে আগ বাড়িয়ে ঝামেলা করেছে।
⚠️লিডারঃ আমি জানি তুই সব করেছিস। আর এখন তোকে মরতে হবে।
আমিঃ না ভাই না প্লিজ আমকে মারবেন না ভাই প্লিজ (মিথ্যা ভয় পাবার নাটক করে)
⚠️লিডারঃ তোকে তো আজ মরতেই হবে আর এইটাই তোর ভাগ্যে লেখা।
এটা বলেই তার কমরে থাকা বন্দুক টা বের করে আমার মাথায় ঠেকালো। যেই ট্রিগার টা চাপ দিবে ওমনি আকাশে ২ টা হেলিকপ্টার দেখা গেলো যেটা থেকে গুলি চালানো হচ্ছে।
গুলি গুলো আর কেউ করছে না। করছে হলো গিয়ে দেশের টপ ২ গুলি বিদ। মেঘ ও রাইসা।
তারা সবাইকে ভয় দেখানোর জন্য গুলি করছে।
ভয়ে সবাই এদিক ওদিক ছুটা ছুটি করছে। লিডারের ও হাত কাঁপছে। সে আমাকে গুলি করা বাদ দিয়ে চলে গেলো তার গাড়িতে৷ আমি গিয়ে চলে গেলাম সবার থেকে আড়ালে। কিছুক্ষন পর হেলিকপ্টার ২ টি লেন্ড করেছে। সাথে আরো ২০ টি গাড়ি ভার্সিটি ডুকেছে। সবাই তো একের পর এক অবাক হচ্ছে। কি হচ্ছে কেউ তা বুজতাছে না।
ভার্সিটির সকলকে শিক্ষকরা যার যার ক্লাসে নিয়ে গেলো। আর তারা সবাই জানালা দিয়ে দেখছে৷
গোলা গুলিও বন্ধ। তখন গ্যাংস্টার জোকার কিং এর সকলে গাড়ি থেকে বের হলো। সাথে তাদের লিডারো।
এবং বের হয়ে বলতে লাগলো।
⚠️লিডারঃ এই কেরে। কার এতো বড় সাহস যে আমার উপর গুলি চালায়। সাহস থাকলে বের হ।
এরপর ২০ টি গাড়ির মাধ্যে সব গুলা গাড়ির দরজা খুলে গেলো। এবং এক এক করে মোট ৭০ জন লোক বের হলে৷
তার মাঝে দুই জন এসে আরেকটা গাড়ির দরজা খুলে দিলো। সেখান থেকে কালো সাদা কোর্ট পরিহিত একজন বেরিয়ে আসলো। তার পরনে ছিলো সাধা সার্ট সাদা পেন্ট সাদা কোর্ট ও সাধা শু,,, আর মুখে ছিলো একরা সাদা মুখোস। দেখে মনে হচ্ছে যেনো একজন হোয়াট মেন গাড়ি থেকে বের হচ্ছে।
এদের দেখে পুরা ভার্সিটির সকলে আরো বেশু ভয়ে কাপঁতে লাগলো৷ আর গ্যংষ্টার জোকার কিং দলের লিডার তো ভয়ে হিসু করে দিয়েছে৷ এবং কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বললো,,,
⚠️লিডারঃ রা রা রায় রায়হান ভাই আপনি??
এটা বলেই ও রায়হানের পা ধরলো লিডার। আর বলতে লাগলো,,,,,
⚠️লিডারঃ ভাই আমাকে মাপ করে দেন ভাই৷
রায়হানঃ পা ছাড়।
⚠️লিডারঃ না ভাই পা ছারবো না।
রায়হানঃ তোর মতন বিশ্বাস ঘাতক কে মাপ করা হলো পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ভুল।
⚠️লিডার তখন তার পায়ের সাথে আটকানো একটা ছুড়ি দিয়ে রায়হান কে যেই আঘাত করতে যাবে অমনি রায়হাত লিডারের মাথায় এক এক করে মোট ৪ টা গুলি করে। যার ফলে লিডার ওখানেই মারা যায়।
আর লিডারের সাথে যারা এসে ছিলো তারা ভয়ে চুপসে যায়। ভার্সিটি সকলে তো ভয়ে কোন কথা বলছেনা।
এরপর রায়হান তার হাতে একটা হেন্ড মাইক নিয়ে বলে,,,,
রায়হানঃ আমি হলাম হোয়াট গ্যাংষ্টার এর লিডার রায়হান। আর আপনাদের কোন ভয় নেই। আমি যত দিন বেচে আছি তত দিন আপনাদের কোন ভয় নেই৷ আর কোন গ্যাং এসেও এই ভার্সিটি কেনো, কোনো ভার্সিটিতে তাদের রাজত্ব চলবে না। আপনারা সবাই নিশ্চিন্তে থাকুন।
এটা বলে রায়হান এবং তাদের দলবদলের সবাই চলে গেল ভার্সিটির বাইরে। এখন পুরা ভারসিটি ফাঁকা শুধু শিক্ষক এবং ছাত্র ছাত্রী ভার্সিটিতে আছে। আমি গিয়ে জামিনুর কাছে গেলাম,, আমাকে দেখেই জামিনুর বলতে লাগলো,,,
🌷 জামিনুরঃ দোস্ত তোর কিছু হয়নি তো?? আমি তো ভেবেছিলাম তোকে হয়তো আর দেখতে পাবো না কিন্তু আল্লাহর কাছে লাখো কোটি শুকরিয়া যে,, তোকে আবার আমাদের মাঝে ফিরিয়ে দিয়েছে।
আমিঃ হুম দোস্ত।
🌷 জামিনুরঃ তুই এতক্ষণ কই ছিলি রে দোস্ত???
আমিঃ প্রচন্ড হিসু চেপেছিল তাই হিসু করতে গিয়েছিলাম।।
🌷 জামিনুরঃ ও আচ্ছা। তো চল এখন বাসায় চলে যাই আজকেও কাজ হবেনা।
আমিঃ আচ্ছা চল ।
এই বলে আমি আর জামিনুর গেট দিয়ে বের হতে যাবো এমন সময় দেখি সোনালিকা , কেয়া এবং তাদের বান্ধবীরা মিলে কি যেন নিয়ে কথা বলছে। আমরা তাদের কাছে যাওয়ার পর শুনতে পেলাম,,,
সোনালিকাঃ আজ তোরা হোয়াইট গ্যাংস্টার এর লিডার রায়হানকে দেখেছিস।
💔 কেয়াঃ হুম দেখেছিতো । সেই হ্যান্ডসাম।
🔺 রিয়াঃ শুধু হ্যান্ডসাম স্টাইলিশ ও যাকে একবার দেখলে হাজার মেয়ে ক্রাশ খাবে এমনকি আমিও ক্রাশ খেয়ে গেলাম।
💔 কেয়াঃ কি ক্রাশ খেয়েছস মানি?? আমি তোর আগে ক্রাশ খেয়েছি।
🔰 সোনালিকাঃ ওই তোরা চুপ করবি। তোরা তো ক্রাশ খেয়েছি আমি তো পুরো ভালোবেসে ফেলেছি তাকে??
💔 কেয়াঃ কি বলছিস কি তুই?? তুই ভালোবেসে ফেলেছিস ।
🔰 সোনালিকাঃ তুই কি বুঝাতে চাচ্ছিস? আমি ভালোবাসতে জানি না। আমার মনে কি ভালোবাসা জাগে না??(( রাগান্বিত কন্ঠে)
💔 কেয়াঃ না মানে আমি এটা বলতে চাইনি।
🔰 সোনালিকাঃ তাহলে কি বোঝাতে চাচ্ছিস তুই??
🔺 রিয়াঃ আরে সোনালিকা তুই ওর কথা বাদ দে তো?? তুই বল কবে দিবি??
🔰 সোনালিকাঃ তোকে আবার ট্রিট দিতে যাব কোন দুঃখে???
🔺 রিয়াঃ ওমা বাবু দেখি কিছু বুঝেনা। তোমার মনে ভালোবাসা জেগে আছে কিন্তু তুমি ট্রিট দিবা না তা কি কখনো হয়??
💔 কেয়াঃ তাড়াতাড়ি বল ট্রিট কখন দিবি??
🔰 সোনালিকাঃ আচ্ছা কালকে দিবনি। রাক্ষসী কোথাকার।
💔 কেয়াঃ রাক্ষসী বলেছে আমি বলেছি কালকে নিবো।
এই বলে তারা হাসাহাসি করতে লাগলো। আমি আর জামিনুর কিছুদূর যাওয়ার পর আমি জামিনাকে বললাম,,,
আমিঃ দোস্ত তোর গার্লফ্রেন্ড দেখি অন্য কারোর উপর ক্রাশ খায়।
🌷 জামিনুরঃ কার ওপরে ক্রাশ খাইছে??
আমিঃ মাত্রই তো বললেন তুই শুনিস নি।
🌷 জামিনুরঃ না শুনিনি তো। কার উপর ক্রাশ খাইছে রে??
আমিঃ হোয়াইট গ্যাংস্টার এর লিডার রায়হান এর উপর।
🌷 জামিনুরঃ কিহহহহহহ
আমিঃ কিহহ না জি ।
🌷জামিনুরঃ দোস্ত আমি যে কেয়া কে ভালবাসি সেটা কি কেয়া কখনো বুঝবেনা???
আমিঃ তুই কি কখনো বলেছিস কে কে যে কে আমি তোমাকে ভালোবাসি??
🌷 জামিনুরঃ না তো কখনো বলা হয়নি। আসলে সাহস হয়ে উঠেনি তার সামনে যাওয়ার পরে বুকটা কেমন ধুকপুক ধুকপুক করে।
আমিঃ খুব কি ভালোবাসিস কেয়া কে??
🌷 জামিনুরঃ হয়তো নিজের চাইতেও বেশি ভালবাসি তাকে।
আমিঃ আচ্ছা চলো তাহলে।
🌷 জামিনুরঃ কই যাবি??
আমিঃ তুই গেলেই দেখতে পাবি ।
এরপর আমি জামিনের কে এক প্রকার জোর করে নিয়ে আসলাম কেয়া রিয়া ও সোনালিকার কাছে।
ওখানে যেতেই রিয়া বলে উঠলো,,,,
🔺রিয়াঃ এই দেখ দেখ এখানে কে এসেছে ক্ষেত আর তার বন্ধু।
🌷জামিনুরঃ রিয়া বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে কিন্তু।
🔺রিয়াঃ কি বাড়াবাড়ি হচ্ছে। যা সত্যি তাই তো বললাম।
আমিঃ জামিনুর বাদ দে তো। আর কেয়া তোমার সাথে কিছু কথা ছিল একটু এদিকে আসবে??
💔কেয়াঃ কি কথা?? যা বলার তুই এখানেই বল।
আমিঃ দরকারটা আমার থেকেও বেশি জামিনুর এর।
💔 কেয়াঃ জামিনুর তুমি কি আমাকে কিছু বলতে চাও???
🌷 জামিনুরঃ না মানে ইয়ে মানে হলো গিয়ে।
আমিঃ ওই তুই হেইলি না করে বলতো।
🌷জামিনুরঃ কেয়া তুমি একটু অধিক টায় চলনা তারপর বলছি।
🔰সোনালিকাঃ যা বলার এখানে বলবি। অন্য কোনোখানে যাওয়া চলবে না।
আমিঃ জামিনুর বলে দেতো। এখন যদি না বলিস তাহলে কিন্তু পরে তোকে পস্তাতে হবে।
🌷 জামিনুরঃ ওকে বলছি।
এরপর জামিনুর কেয়ার সামনে হাঁটু গেড়ে বসে । পকেট থেকে একটা ডায়মন্ডের রিং বের করে ,,কেয়ার সামনে ধরল আর বলতে লাগলো,,,,
চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,
Post a Comment