গল্পঃ#ওসির_মেয়ে_যখন_বউ
লেখকঃ Mahbub Rohman Shuvo
পর্বঃ ০২
আমিঃ দেখুন ভাই আপনাদের হয়তো কিছু ভুল হচ্ছে। আমি অনাকে ধাক্কা দেয়নি।। উনি আমাকে ধাক্কা দিতেছিল ,, আমি সরে গিয়েছি এবং উনি পড়ে গিয়েছে। এখানে তো আমার কোন দোষ নেই।
✅ছেলেটিঃ কি তুই বলতে চাচ্ছিস সোনালীকা মিথ্যা কথা বলছে??
🔰সোনালিকাঃ কি আমাকে মিথ্যাবাদী বানাইছে দ্বারা এখনই বাবাকে ফোন করে তোর বারোটা বাজাচ্ছি।
✅ছেলেটিঃ সোনালিকা আঙ্কেলকে ডাকার দরকার নেই । আমি ওকে দেখে নিচ্ছি।
🔰 সোনালিকাঃ ওকে বাবাকে ফোন করলাম না তোরা কি করবে তাড়াতাড়ি কর। আমাকে মিথ্যাবাদী বলতেছে ওর সাহস টা কত বড়।
আমিঃ দেখুন ভাই আমি এখানে ঝামেলা করতে চাচ্ছি না ।তো আপনারা আপনার কাজ করুন । আর আমাকে এখন দিয়ে যেতে দিন।
✅ ছেলেটিঃ তুই কি আমাকে চিনিস যে আমার সাথে ঝামেলা। আমি কে তুই সেটা জানিস??
আমিঃ ভাই আপনি কে সেটা আমি কি করে জানব?? আমার ঝামেলা করতে মন চাচ্ছে না।
তখনই জামিনুর আসলো আর ছেলেটিকে বলতে লাগলো ,,,,,
🌷 জামিনুরঃ রকি ভাই, কি হইছে ভাই।
✅ ছেলেটি মনে রাকিঃ এই কুত্তার বাচ্চা আমার যান তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে। আজকে আমি ওকে এখানে খুন করবো।
🌷জামিনুরঃ ভাই সরি ভাই । ওর হয়ে আমি আপনার কাছে মাফ চাচ্ছি। ভাই ও ভার্সিটিতে নতুন তো তাই হয়তো বুঝতে পারিনি।
✅রকিঃ নতুন হয়েছে তো কি হয়েছে ও আমার জান তার গায়ে হাত করে সাহস টা কি করে হলো। আজ ওর হাতটা আমি......।
🌷 জামিনুরঃ ওই রায়হান তুই গিয়ে ভাইয়ের কাছে মাফ চেয়ে নে।
আমি ওদের কথা শুনে তোর মাথা পুরো গরম হয়ে গেছে কিন্তু আমার আসল পরিচয় এখানে এত তাড়াতাড়ি দেওয়া যাবে না তাই নিরবে সব সহ্য করে নিলাম । রাগে কটমট করতে করতে রকি কে বললাম,,,
আমিঃ সরি ভাই আমার ভুল হয়ে গেছে মাফ করে দেন।
✅ রকিঃ আমার কাছে মাফ চাইলে হবে না যা গিয়ে সোনালী তার কাছে মাপ চা আর পা ধরে মাফ চাবি।
এরপর আমি সোনালিকার কাছে গিয়ে বললাম,,,,
আমিঃ আপু প্লিজ আমাকে মাফ করে দেন। আমি দেখতে পাইনি। ( রাগে আমার শরীর থাকলো চোখ মুখ ফুলে লাল হয়ে গেল মনে হচ্ছে যেন এখনই চোখের আগুন বের হবে)
🔰 সোনালিকাঃ হইছে হইছে যা আর মাফ চাওয়া লাগবে না।
এরপর আমি আর জামিনুর ওখান থেকে চলে আসলাম,,,
🌷 জামিনুরঃ কি দরকার ছিল তার সাথে ঝামেলা করার।
আমিঃ আমি তোদের সাথে ঝামেলা করিনি । ওরাই না উল্টো আমার সাথে এসে ঝামেলা করতে ছিল।
🌷জামিনুরঃ আগেই ভেবেছিলাম।
আমিঃ সোনালিকা রকি কেয়া কে।
🌷জামিনুরঃ সোনালিকা হলো থানার ওসি এর মেয়ে এবং প্রিন্সিপাল এর একমাত্র ভাতিজি। কোথায় কলেজের সব সময় ও পাওয়ার দেখে চলে।
আমিঃ ও আচ্ছা । রকি ডাকে।
🌷জামিনুরঃ তুই কি কখনো গ্যাংস্টার জোকার কিং এর নাম শুনেছোস??
আমিঃ না শুনিনি তো কেন??
🌷 জামিনুরঃ ও হল গ্যাংস্টার জোকার কিং এর লিডার তার ডান হাত। খুন খারাবি করতে করতে তারা অভ্যস্ত । আর সেকেন্ড কত হচ্ছে ও হলো গিয়ে সোনালীকাকে ভালোবাসে।
আমিঃ আচ্ছা আর কেয়া ??
🌷জামিনুরঃ কেয়া মেয়েটা আগে ভালো ছিল । পরে সোনালিকা দের সাথে থাকতে থাকতে খারাপ হয়ে গেছে । কথায় আছেনা সঙ্গ দোষে লোহা ভাসে ঠিক তেমনি। আর কেমন একটু অহংকারী টাইপের। কিন্তু দেখতে মাশাল্লাহ।
আমিঃ দোস্ত ডাল মে কুচ কালা হে।
🌷 জামিনুরঃ তুই আমার দোস্ত । তাই তোকে বলছি আমি কেয়া ভালোবাসি।
আমিঃ এই জন্যই তো বলি সবার নামে এত খারাপ খারাপ কমেন্ট আর নামে বলতে লজ্জা পাচ্ছো কেন।
🌷 জামিনুরঃ আরে না। তেমন কিছু না। চলো যাই ।
আমিঃ একটু কাজ আছে কাজটা সেরে আমি চলে যাব নে।
🌷 জামিনুরঃ আচ্ছা তুই থাক তাহলে আমি যাই।
আমিঃ ওকে যা।
এরপর আমি আমার কাজ সেরে চলে গেলাম বাসায় ।বাসায় গিয়ে দিলাম আরামের ঘুম।
পরের দিন সকালে ভার্সিটিতে গিয়ে দেখি সবাই হৈ হুল্লোড় করছে । তখনই ভিতু চেহারা নিয়ে জামিনুর আমার কাছে এসব হাঁপাতে হাঁপাতে বলতে লাগলো।
🌷 জামিনুরঃ শুনেছিস কিছু??
আমিঃ কি শুনমু??
🌷জামিনুরঃ কাল রাতে নাকি রকি খুন হয়েছে। কে বা কারা জানি তাকে খুন করে তার একটা হাত কেটে ফেলে দিয়েছে।
আমিঃ কি বলিস কিন্তু এসব।
🌷 জামিনুরঃ আমি ঠিকই বলছি কিছুক্ষণ আগে পুলিশ এসে লাশটি নিয়ে গেছে চলে গেছে মনে ময়নাতদন্ত করার জন্য।
আমিঃ সে নাকি গ্যাংস্টার জোকার কিং এর লিডার এর ডান হাত। তাহলে তার মৃত্যু কিভাবে হবে। ও না অন্যদের মেরে ফেলে ।
🌷 জামিনুরঃ জানিনা রে তবে এখন অনেকেই খুব খুশিতে আছে কারণ ও মারা গেছে দেখে।
আমিঃ ও আচ্ছা ভালো।
আজ ভার্সিটিতে কোনো ক্লাস হয়নি। সোনালিকা কেউ আজ দেখি নি ভারসিটি তে।
আচ্ছা সোনালিকা কি ওকে ভালোবাসতো।
সেজন্য কি আজ ভার্সিটিতে আসেনি নাকি অন্য কোনো কারণ আছে। যাগ্গে ওর কারণ ওর কাছে থাকুক আমি বরং একটু গিয়ে প্রিন্সিপালের সাথে দেখা করে আসি ।
আমি প্রিন্সিপাল স্যারের রুমের সামনে দাঁড়িয়ে স্যার কে সালাম দিয়ে বললাম,,,
আমিঃ স্যার আসতে পারি???
🌲স্যারঃ হুম আসো।
আমিঃ স্যার কাল যে বলছিলাম??
🌲স্যারঃ ও মনে পড়েছে দিচ্ছি দাড়াও।
এবার স্যার় আমার কাছে একটা ফাইল এনে দিলো এবং বলতে লাগলো,,,
🌲স্যারঃ এখানে সব তথ্য পেয়ে যাবে।
আমিঃ ধন্যবাদ স্যার। আর স্যার আমার আসল পরিচয়টা জেনো কেউ জানতে না পারে সেদিকে লক্ষ রাখিয়েিয়ে রাখিয়েন।
🌲স্যারঃ ওকে বাবা।
আমিঃ স্যার আমি তাহলে আজ উঠি পরে দেখা হবে আরেকদিন।
🌲স্যারঃ আচ্ছা বাবা।
এটা বলেই আমি স্যার এর রুম থেকে চলে আসলাম ।আর আসতে আসতে দেখলাম কপাল দিয়ে চিকন ঘাম বের হচ্ছিল।
আমি সেদিকে লক্ষ্য না করে ভার্সিটি থেকে বের হয়ে গেলাম।
পরদিন সকালে আবার যথা নিয়মে সেই একই স্টাইলে , ভার্সিটিতে গেলাম। সেখানে এখনো বেশ চর্চা চলছে রকির মৃত্যু নিয়ে,,,
আমার সে দিকে কোন লক্ষ্য নেই।। আমি ভার্সিটির ঠিক পাশে একটা পুকুর আছে সেখানে একটা গাছের নিচে বসে আছি। তখন আমি খেয়াল করলাম সোনালিকা আছে ঠিক সামনে। আমি একবার সামনে দিয়েই তাকে আবার নিচে নিজের পড়ার দিকে মন দিলাম।
তখন সোনালিকা আমাকে বলতে শুরু করল,,,,
🔰 সোনালিকাঃ তুই কে রে আসল পরিচয় কি ??
সোনালিকার কথা শুনে আমি কিছুটা অবাক হয়ে গেলাম আর মনে মনে বলতে লাগলাম,,,
আমিঃ সোনালিকা কি আমার আসল পরিচয় জেনে গিয়েছে???? সেকি যে নিয়ে গেছে মি ।। না না । সে জানবে কি করে ?সে জানে না। ( মনে মনে)
🔰সোনালিকাঃ কিরে তুই চুপ কেন তোর আসল পরিচয় দে?? ( ধমক দিয়ে)
আমিঃ আমিতো রায়হান। আমার বাড়ি রাজশাহী। কেন আপু?? আর ওই দিনই তো বললাম আমার পরিচয়।
🔰 সোনালিকাঃ ও আচ্ছা আমি ভুল ভেবেছিলাম !!!
আমিঃ কি ভেবেছিলেন আপনি আপু??
🔰সোনালিকাঃ আমি ভাবতেছিলাম হলো গিয়ে,,,,,,,আমি যা খুশি তা ভাবতে ছিলাম তাতে তোর কি তোর কাজ তুই কর।
আমি হাবলা কান্তের মত একটা হাসি দিয়ে বললাম,,,,
আমিঃ ওকে আপু আপনার কাজ আপনি করেন আমার কাজ আমি করি।
সোনালিকা আর কিছু না বলে চলে গেল।
হঠাৎ করে তাকিয়ে দেখলাম ভার্সিটির গেট দিয়ে এক এক করে
সর্বমোট 17 টা গাড়িঢুকলো । সবগুলো গাড়ি ছিলে কী রঙের এবং একই মডেলের। এক কালারে এতগুলো গাড়ি হয়তো আর কখনো ভার্সিটিতে ঢোকেনি। তাই সকলে অবাক হয়ে গাড়ি গুলোর দিকে তাকিয়ে ছিল। হঠাৎ করে গাড়ি গুলো একসাথে খুলে গেল। এবং প্রত্যেকটি গাড়ি থেকে 4 জন করে লোক বেরিয়ে আসলো।
কিছুক্ষণ পর ভার্সিটিতে আরেকটা গাড়ি ঢুকলো এটা ছিল সাদা রঙের। তখন একজন কোর্ট পরিহিত লোক গিয়ে সাদা গাড়ির দরজা খুলে দিল এবং একজন লোক বেরিয়ে আসলো।
চলবে.........
Post a Comment